
বল বাকি থাকতেই বিজ্ঞাপনে চলে যাওয়া। আবার নতুন ওভারের এক বল শেষ হওয়ার পর সম্প্রচারে আসা, আউট কিংবা বাউন্ডারি হলে রিপ্লে না দেখিয়ে, এমনকি বল বাউন্ডারির বাইরে না যেতেই বিজ্ঞাপন দেখানো। এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য দর্শকমহলে এখন বিরক্তিতে পরিণত হয়েছে চ্যানেল নাইন।
শুধুই কী মুনাফাই সব? বাংলাদেশের মতো ক্রিকেট পাগল জাতি চায় প্রতিটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হতে। সেটা এখন পর্যন্ত কোন টিভি চ্যানেলই বিবেচনা করেনি। চ্যানেল নাইন কিন্তু তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের মূল্য কাঠামো পরিবর্তন করে কম বিজ্ঞাপন প্রচার করেও অধিক আয় ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে।
তারা ১০০টি বিজ্ঞাপন থেকে যে টাকা পায়, তা তারা ৮০টি বিজ্ঞাপন প্রচার করেই পেতে পারে। এই পলিসিকে বলা হয় স্কিমিং প্রাইসিং পলিসি, যার মানে হলো বেশি মূল্যে কম কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে ব্র্যান্ড তৈরি করা।
কিন্তু চ্যানেল নাইনের প্রাইসিং পেনেট্রেশন-(যারা অর্থ হচ্ছে কম মূল্যে অধিক কাস্টমারের কাছে সেল করা) পলিসির জন্য দর্শকমহলে অজনপ্রিয় হচ্ছে।
তাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উচিত এই অদক্ষ বিপণন পলিসি অবিলম্বে পরিবর্তন করা। কর্তৃপক্ষের মনে রাখা উচিত দর্শক খেলা দেখে বলেই তারা আয় করতে পারে। আর তাই তাদেরও উচিত দর্শক কী চায় তা উপলব্ধি করা।
ঠিক এই অদক্ষ সম্প্রাচারের কারণেই বিপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব হারিয়েছিল চ্যানেল নাইন। এই মুহূর্তে বিসিবির উচিত নিজের একটি চ্যানেল খোলা। যেমনটা আমাদের পাশের দেশ ভারত করেছে।
[প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। ইউরোবিডিনিউজ.কম লেখকের মতাদর্শ ও লেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত মতামতের সঙ্গে ইউরোবিডিনিউজ.কম-এর সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে।]
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন