
গতকাল এক বিবৃতিতে সম্মিলিত মুফতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, যারা অনুবাদে ভুল খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের উচিত ভুলগুলি চিহ্নিত করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। এটি দেশের হাক্কানী আলেম সমাজ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তাদের ভুল ধরাটি ভুল না শুদ্ধ। যদি কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে তা দেশের বড় ও প্রাচীন মাদরাসাগুলো থেকে দেওয়া আলেম প্রতিনিধিরাই করবেন। কোনো সরকারের দ্বারা প্রভাবিত বা শক্তির আজ্ঞাবহ দরবারী আলেম নয়।
পাশাপাশি কেউ অহেতুক এসব অতিসংবেদনশীল ধর্মীয় কাজে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করছে কি না তাও ভেবে দেখার বিষয়। ৫ মে ২০১৩ পর থেকে ঈমানী বিষয়েও শীর্ষ হেফাজত নেতৃবৃন্দের রহস্যজনক নিরবতা জাতিকে এমনকি সারাদেশে হেফাজতের লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থককে চরম হতাশ করে। এমনকি সরকার সমর্থক আওয়ামী ওলামালীগের সমান প্রতিবাদও তারা গত ৫ বছর করার সাহস পাননি।
তাদের এ ভীরুতা ও আপোষকামিতা এদেশের ইসলামী কার্যক্রমের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আর ধন-দৌলতের লোভে পড়ে যদি তারা ঈমানী বিষয়ে নিরব হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বলবো, কবরের কথা স্মরণ করুণ ও আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের সর্বশেষ ভ‚মিকা দেখে দেশবাসী এসব ইসলাম বিরোধী হস্তক্ষেপে ভয় পায়।
হেফাজত প্রতিবাদ করলে সরকার অনেক ভুল থেকে বিরত থাকতো, বর্তমানে যা নেই বললেই চলে। আমরা দেশের উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। সরকারকেও বলি, দয়া করে নিজের সীমার বাইরে যাবেন না। পবিত্র কোরআন অনুবাদ ও ব্যাখ্যার দায়িত্ব আপনাদের নয়। এজন্য যুগে যুগে বিশেষজ্ঞরা ছিলেন, বর্তমানেও আছেন। সরকারী উদ্যোগে অনুবাদ সংশোধন একটি মহাবিপর্যয়ের সূচনা করুক, আল্লাহর গজব ডেকে আনুক তা আমরা চাই না।ইনকিলাব।
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন