
হৃদয়কে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার কাড়ারগাতী গ্রামের রবিউল মিনার ছেলে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের অন্য একটি বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ঢাকা ইডেন কলেজের ছাত্রী রহিমা মনি জানান, ঢাকাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের বাসের একেবারে পিছনের ডান পাশের একটি আসনে বসে ছিলেন হৃদয়। বাসটি বেদগ্রাম পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে পাশ কেটে যাওয়ার সময় বাস ও ট্রাকের পেছনের অংশে সংঘর্ষ হয়। ট্রাকটির চালকের দোষেই হৃদয়ের বাহু থেকে ডান হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মুমূর্ষ অবস্থায় হৃদয়কে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এতিকে ট্রাকটি আটকের জন্য অভিযান চালানো বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর বাংলামটর এলাকায় ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুটি বাসের রেষারেষিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীবের ডান হাত বাস দুটির মাঝখানে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পথচারীরা তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। রাজীবের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হলে দীর্ঘদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাস দুইটির চালক কারাগারে রয়েছেন।
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন