
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে আগত মুসুল্লিদের নিয়ে এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রধান ইমাম না থাকায় সমাধান করা যায়নি। আগামী শুক্রবার বিষয়টি সমাধান করা হবে।
স্থানীয় মুসুল্লিরা জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর নোয়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মোঃ মাসুম (৩০) শুক্রবার ভোর রাতে প্রথম রমজানের সাহরি খাওয়ার জন্য মাইকে মুসুল্লিদের ডাকেন। ভোর সাড়ে ৩ টায় ইমাম সেহেরি খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এসময় মসজিদের পূর্ব পার্শ্বের বাড়ির আবদুল বারেকের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) ইমামের উপর হামলা চালায়। ইমামের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, গত ৬/৭ মাস আগে সহকারী ইমাম হিসেবে মোহাম্মদ মাসুমকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি মসজিদে থেকে মুসল্লিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করেন।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সেহেরির সময় মাইকে ডেকে মুসল্লিদের জাগিয়ে দেয়ার জন্য ইমামকে বলা হয়েছিল। শুক্রবার ভোররাতে ইমাম সাহেব ঘুম থেকে ওঠার জন্য মুসল্লিদের মাইকে ডাকতে থাকেন।
এসময় মসজিদের পাশের বাড়ির মোশারফ নামে এক যুবকের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় সে ইমামকে মারধর করেন বলে জানান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মোশারফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মোশারফ এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন।
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন