
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই অভিযান।
অভিযান শেষে টিটিপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে মহাখালী ও কমলাপুর থেকে মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পৃথক দুইটি অভিযানে এক হাজার করে ডিএমপির সদস্য, থানা পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম এবং মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানের নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না।
অভিযানে মাদক বিক্রির কোনো গডফাদারকে ধরতে না পারার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক বিক্রির স্পটে গডফাদাররা থাকে না। তাদেরকে ধরতে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদেরকে ধরা হবে। জঙ্গি নির্মূল করতে যেভাবে অভিযান চালানো হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধেও সেরকম অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মতো মাদককেও নির্মূল করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অবস্থান রয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোট ৭৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ডিএমপি। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২২৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯৭১ গ্রাম হেরোইন, ৭ কেজি ৫২০ গ্রাম গাঁজা, ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৫ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সারাদেশে র্যাব-পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এবং বন্দুকযুদ্ধে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৬৪ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন